
Sohoj upay YouTube shorts video তৈরি করা সম্পর্কে আমি আপনাকে আজকে বিস্তারিত বলবো যার মাধ্যমে আপনি ২০২৫ সালে ইউটিউবে একটি লং টাইম এর জন্য ক্যারিয়ার গঠন করতে পারবেন।
ইউটিউব ক্রিয়েটরদের জন্য অনেক হেল্পফুল আপডেট নিয়ে আসছে যার মাধ্যমে যে কোন ক্রিয়েটর সম্মুখ কিছুর এক্সপেরিয়েন্স এর মাধ্যমে ইউটিউব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তার কনটেন্ট ক্রিয়েশন এর যাত্রা শুরু করতে পারে।
আমি এখন আপনাকে একটি সহজ পদ্ধতি শেয়ার করব যে পদ্ধতির মাধ্যমে ইউটিউব শট ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবিং শুরু করা যায়।
বর্তমানে শর্ট ভিডিও খুবই জনপ্রিয় সকল প্লাটফর্মের জন্য সেটা হতে পারে ইউটিউব হতে পারে ফেসবুক টিকটক ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি।
তাই আমি আপনাকে আজকে সব থেকে সহজ পদ্ধতিতে সব ভিডিও তৈরি করার নিয়ম শেখাবো। এজন্য আপনাকে আলাদাভাবে কোন স্ক্রিপ্ট কোন এডিটিং অথবা কোন ধরনের এডমিশন ইফেক্ট বা এডিটিং এর ঝামেলা পোহাতে হবে না।
এই ধরনের শর্ট ভিডিও তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে ইউটিউবে চলে যেতে হবে এবং গিয়ে আপনার পছন্দের টপিকে কিছু একটি সার্চ করতে হবে যেমন আমার পছন্দের একটা পিক হলো টেক (tech)
আমি যখন youtube এ টিক রিলেটেড কোন ভিডিও সার্চ করব তখন ইউটিউবে ওই রিলেটেড যেই ভিডিওগুলো সব থেকে বেশি ভাইরাল এবং বেটার কনটেন্ট সেগুলো ইউটিউব আমাকে সাজেস্ট করবে।
আমি সেখান থেকে যেকোনো একটি পছন্দের ভিডিও সিলেক্ট করব এবং প্লে করব। প্লে করার পরে একটি মজার বিষয় লক্ষ্য করব
Video play করার পরে লাল রঙের একটি গ্রাপ দেখতে পাবেন ভিডিও কতটুকু দেখা হয়েছে অথবা কত সেকেন্ড কত মিনিট শেষ হয়েছে লাল রংয়ের এই গ্রাফের উপর ক্লিক করে ধরে রাখলে দেখতে পারবেন আরো কিছু ধোয়া সেট টাইপের উপর নিস ওঠা নামা করার মত একটি গ্রাফ সম্পূর্ণ ভিডিও তে।
যেখানে দেখবেন আচ্ছা টাইপের গ্রাফটি উপরের দিকে বেশি দেখা যায় আপনি মনে করবেন যে ওই স্থান এর যেই কথাগুলো বা ওই ভিডিওটুকু অংশ ইউটিউবে সব থেকে বেশি ভাইরাল অথবা মানুষ সব থেকে বেশি ওই ভিডিওর ওই স্পেসিফিক অংশ বেশি পছন্দ করছে এবং বেশি সময় ধরে দেখছে।
এরপরে আপনি আপনার ভাইরাল হওয়া ক্লিক সিলেক্ট করবেন তার শুরু এবং শেষ টাইম মনে রেখে নোট করে রাখবেন।
তারপরে যে ভিডিওটি প্লে করছেন তার নিচের দিকে রিমিক্স নামক একটি অপশন দেখতে পারবেন সেখানে ক্লিক করলে চারটি অপশন চালু হবে সেখান থেকে collab অপশন থেকে ক্লিক করবেন।
ভিডিওটির সম্পূর্ণ এডিটিং উইন্ডো চালু হবে সেখান থেকে আপনি একটু আগে যেই নির্দিষ্ট ভাইরাল ক্লিপ টাইম মনে রাখছেন অথবা নোট করছেন সেই টাইম অনুযায়ী ভিডিও ক্লিপ কেটে নিবেন।
নেক্সট করলে ক্যামেরা ওপেন হবে এবং আপনার ফেস সেখানে শো করে ভিডিওর ক্যাটাগরি এবং ভিডিওর বিষয়বস্তুর উপরে কিছু রিঅ্যাকশন দিবেন গঠনমূল।
কেটে নিয়ে নেক্সট করলে আপনার ভিডিওটি আপলোড প্রসেসিং হবে এটি আপনার নেট স্পিড এবং ভিডিও লেন্থের উপর নির্ভর করবে।
এরপরে আপনি আপনার ভিডিওর থামনিল বসানোর জন্য এর উপরে টেক্সট এড করতে পারবেন। এবং নিচের দিকে টাইমলাইন এর উপর ক্লিক করে আপনার টেক্সট ভিডিওর কতটুকু জায়গা জুড়ে দেখাবে সেটি সিলেক্ট করে দিন।
এরপরে নেক্সট করুন, তারপরে আপনার ভিডিওর টাইটেল এবং ইত্যাদি বসানোর একটি সেকশন চলে আসবে। Caption your short এই অপশনে আপনার ভিডিওতে যে টাইটেল দেওয়া প্রয়োজন সেটি লিখবেন তবে অবশ্যই ১০০ ক্যারেক্টার এর মধ্যে লিহবে হবে।
এরপরে visibility এখানে ক্লিক করে আপনার ভিডিওটি প্রাইভেট করে আপলোড করে দিন।
তারপরে আপনার এখানে কাজ শেষ, এখন ইউটিউব থেকে বের হয়ে সরাসরি গুগল প্লে স্টোরে চলে যাবেন এবং সেখান থেকে ওয়াই টি স্টুডিও yt studio নামক একটি অ্যাপ ডাউনলোড করবেন এবং আপনার যে জিমেইলে ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করছেন এবং একটু আগে ভিডিও আপলোড করছেন সেই জিমেইল দিয়ে লগইন করবেন।
লগইন করলে নিচের দিকে দেখতে পারবেন কনটেন্ট content লেখা, সেখানে ক্লিক করলে আপনার প্রাইভেট করা ভিডিওটি দেখতে পারবেন।
ভিডিওর উপরে ক্লিক করলে স্কিনের উপরের দিকে একটি ইডিট বাটন দেখতে পারবেন। এটার উপর ক্লিক করে আপনার ভিডিওতে ডিসক্রিপশনযুক্ত করতে পারবেন এবং
Tag shorts remixing category… এখানে ক্লিক করলে উপরে আপনার ভিডিওতে রিলেটেড কিছু হ্যাশটেক যুক্ত করবেন এগুলো ভিডিও ভাইরাল হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সব কিছু ঠিক থাকলে সর্বশেষ visibility থেকে ভিডিওটি পাবলিক করে আপলোড করে দিবেন।
উপরের বিষয়বস্তুর আলোকে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি রিলস ভিডিও সঠিক নিয়মে আপলোড করবেন এবং এই ধারাবাহিকতা অন্তত এক মাস পর্যায়ে রেখে ভিডিও আপলোড করবেন আশা করা যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি আপনার ইউটিউব ক্যারিয়ারের সফলতা দেখতে পাবেন।
Leave a Reply