২৫ আগস্ট পৃথিবী থেকে পরলোক গমন করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ যাদের মানুষ হর্ণাক্ষরে মনে রাখবে, আবার তাদের মধ্যে কিছু জঘন্য ব্যক্তি ছিল যাদের থেকে পরিত্রাণ পায় বিশ্ব তো চলুন এক নজরে দেখি নাই পঁচিশে আগস্ট পৃথিবী থেকে কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ মৃত্যুবরণ করে,
১৭৭৬ – ডেভিড হিউম স্কটিশ দার্শনিক, ইতিহাসবিদ, অর্থনীতিবিদ এবং প্রাবন্ধিক
ডেভিড হিউম ছিলেন অষ্টাদশ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী স্কটিশ দার্শনিক। তাঁর দার্শনিক তত্ত্ব ও চিন্তাধারা পশ্চিমা দর্শনের ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলেছে। হিউমের দার্শনিক কাজের মূল বিষয় ছিল যুক্তিবাদ এবং নৈতিকতা, যা পরবর্তী কালে দার্শনিকদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করে। তিনি একজন প্রাবন্ধিক হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন এবং তাঁর রচনা অনেক সময় সমাজ ও ধর্মের প্রতি বিদ্রূপাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে। হিউমের দর্শনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল বাস্তববাদ, যা পরে ইম্পিরিসিজম নামে পরিচিতি পায়। তাঁর মৃত্যুর পরেও, তাঁর কাজ আজও দর্শনের শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের অনুপ্রেরণা দিয়ে চলেছে।
১৮১৯ – জেমস ওয়াট ব্রিটিশ প্রকৌশলী, ১৭৬৯ সালে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারক
জেমস ওয়াট ছিলেন একজন ব্রিটিশ প্রকৌশলী এবং আবিষ্কারক, যিনি শিল্প বিপ্লবে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত আবিষ্কার হল বাষ্পীয় ইঞ্জিনের উন্নত সংস্করণ, যা শিল্প বিপ্লবের চালিকাশক্তি হিসাবে কাজ করেছে। ওয়াটের উদ্ভাবন কেবলমাত্র কারখানার উৎপাদন বাড়িয়েই থেমে থাকেনি, বরং বিশ্বব্যাপী পরিবহন ব্যবস্থাতেও বিপ্লব ঘটিয়েছিল। বাষ্পীয় ইঞ্জিনের উন্নতির মাধ্যমে তিনি যান্ত্রিক উৎপাদন এবং অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নিয়ে আসেন, যা বিশ্ব অর্থনীতিকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করে। ওয়াটের আবিষ্কারগুলি এখনও প্রযুক্তির ইতিহাসে উদ্ভাবন এবং নতুনত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
১৮২২ – উইলিয়াম হার্শেল, জার্মান বংশোদ্ভুত ইংরেজ জ্যোতির্বিদ এবং সুরকার
উইলিয়াম হার্শেল ছিলেন একজন প্রতিভাবান জ্যোতির্বিদ এবং সুরকার, যিনি জার্মানিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং পরে ইংল্যান্ডে স্থায়ী হন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত আবিষ্কার হল গ্রহ ইউরেনাস, যা তিনি ১৭৮১ সালে আবিষ্কার করেন। হার্শেল জ্যোতির্বিজ্ঞানে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে নক্ষত্রগুলির দূরত্ব পরিমাপ এবং বিভিন্ন ধরণের নেবুলা পর্যবেক্ষণ। তিনি তাঁর বোন ক্যারোলিন হার্শেলের সাথে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন এবং তাঁরা একত্রে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি সাধন করেন। সুরকার হিসেবেও তাঁর অবদান রয়েছে, বিশেষত তাঁর সিম্ফনি এবং অন্যান্য সংগীত রচনায়। হার্শেলের জীবন ও কাজ জ্যোতির্বিজ্ঞান ও সংগীতের ক্ষেত্রে অনন্য স্থান দখল করে আছে।
১৮৬৭ – মাইকেল ফ্যারাডে, ইংরেজ রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী
মাইকেল ফ্যারাডে ছিলেন একজন খ্যাতিমান ইংরেজ রসায়নবিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিজম এবং ইলেক্ট্রোকেমিস্ট্রির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখেন। ফ্যারাডের গবেষণা এবং আবিষ্কারগুলি আধুনিক বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির ভিত্তি স্থাপন করে। তাঁর বিখ্যাত কাজগুলির মধ্যে রয়েছে ফ্যারাডে’স ল, যা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশনকে ব্যাখ্যা করে, এবং ইলেক্ট্রোলাইসিসের সূত্রাবলি। ফ্যারাডের কাজ শুধুমাত্র পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়নবিদ্যায় সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ফ্যারাডে রেসাইডেন্স গৃহে বিজ্ঞান বিষয়ক লেকচার সিরিজ চালু করেন, যা আজও বিদ্যমান। তাঁর বৈজ্ঞানিক কর্মকাণ্ড এবং অর্জনগুলি বর্তমানের বিজ্ঞানীদের জন্য এক বিশাল উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা।
১৮৯৭ – মহারাণী স্বর্ণময়ী, মুর্শিদাবাদের কাশিম বাজার রাজের মহারাণী, জনহিতৈষী ও সমাজসেবী
মহারাণী স্বর্ণময়ী ছিলেন মুর্শিদাবাদের কাশিম বাজার রাজ পরিবারের একজন বিশিষ্ট নারী এবং একজন খ্যাতিমান সমাজসেবী। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় সমাজের উন্নয়নে অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন। জনহিতৈষী কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি মহিলাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সংস্কার নিয়ে কাজ করেছিলেন। স্বর্ণময়ী তাঁর জনহিতৈষী কাজের জন্য বিশাল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং তাঁর কাজ আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। তাঁর ত্যাগ ও অবদান মুর্শিদাবাদ এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। মহারাণী স্বর্ণময়ীর জনহিতৈষী কার্যক্রম এবং সমাজসেবার দৃষ্টিভঙ্গি ভবিষ্যতের প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।
১৯০০ – ফ্রিডরিখ ভিলহেল্ম নিচে, জার্মান দার্শনিক, কবি ও ভাষাতত্ত্ববিদ
ফ্রিডরিখ ভিলহেল্ম নিচে ছিলেন জার্মান দার্শনিক, কবি, এবং ভাষাতত্ত্ববিদ, যিনি উনিশ শতকের দার্শনিক চিন্তাধারায় বিপ্লব ঘটান। তাঁর দার্শনিক তত্ত্ব এবং সমালোচনা পরবর্তী কালে পশ্চিমা দর্শনে গভীর প্রভাব ফেলে। নিচের সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ হল “থাস স্পোক জারাথুস্ত্রা”, যেখানে তিনি মানব জাতির ওপর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তাঁর দর্শনের মূল ভাবনা ছিল ক্ষমতার ইচ্ছা এবং নৈতিকতার পুনর্বিবেচনা। নিচের কাজগুলি দার্শনিক, সাহিত্যিক, এবং ভাষাতত্ত্বিক ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণে প্রভাব ফেলেছে। তাঁর দার্শনিক চিন্তাধারা আজও গবেষকদের মধ্যে বিতর্কিত এবং প্রভাবশালী।
১৯০৮ – অঁতোয়ান অঁরি বেক্যরেল, ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী
অঁতোয়ান অঁরি বেক্যরেল ছিলেন একজন বিখ্যাত ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি তেজস্ক্রিয়তার আবিষ্কার করেন এবং এর জন্য ১৯০৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর আবিষ্কারটি পদার্থবিজ্ঞানে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এবং এর পরবর্তী কালে বিজ্ঞানের অন্যান্য ক্ষেত্রেও বিপ্লবী প্রভাব ফেলেছিল। বেক্যরেলের কাজের মাধ্যমে তেজস্ক্রিয়তা গবেষণার সূচনা হয় এবং এর ফলে এক্স-রে এবং নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের মতো ক্ষেত্রগুলির উন্নতি ঘটে। তাঁর আবিষ্কার এবং গবেষণা বর্তমান বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
১৯৩০ – অনুজাচরণ সেন, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের শহীদ বিপ্লবী
অনুজাচরণ সেন ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সাহসী বিপ্লবী। তিনি অগ্নিযুগের সময়কালে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে শহীদ হন। সেনের বিপ্লবী কার্যকলাপ এবং ত্যাগ তাঁকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মধ্যে একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিতি দেয়। তাঁর জীবনের কাহিনী এবং বীরত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরবর্তী প্রজন্মের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস ছিল। তাঁর ত্যাগ ও অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
১৯৬৭ – পল মুনি, মার্কিন মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা
পল মুনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট মার্কিন মঞ্চ এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা, যিনি তাঁর অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেন। মুনি তাঁর অভিনয় জীবনের বেশিরভাগ সময় মঞ্চে এবং পরবর্তীতে চলচ্চিত্রে ব্যয় করেন, যেখানে তিনি বিভিন্ন চরিত্রের অভিনয়ে দক্ষতার পরিচয় দেন। তাঁর অভিনয় ছিল সংবেদনশীল এবং বাস্তবসম্মত, যা তাঁকে অনেক পুরস্কার এবং স্বীকৃতি এনে দেয়। মুনির অভিনয় জীবনের উজ্জ্বল মুহূর্তগুলি তাঁকে হলিউডের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
১৯৭৬ – সাহিত্যে যুগ্মভাবে নোবেলজয়ী সুইডিশ কথাশিল্পী আইভিন্ড জনসন
আইভিন্ড জনসন ছিলেন একজন সুইডিশ কথাশিল্পী, যিনি সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। জনসনের রচনাগুলি তার সময়ের সামাজিক এবং রাজনৈতিক সমস্যাগুলির গভীর প্রতিফলন ছিল। তাঁর লেখার মধ্যে তিনি শৈশবের স্মৃতি, সামাজিক অবিচার, এবং মানব জীবনের বিভিন্ন দিকগুলি তুলে ধরেছেন। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজগুলির মধ্যে রয়েছে “Return to Ithaca” এবং “The Days of His Grace”, যেখানে তিনি মানব জীবনের নানা জটিলতা এবং সংগ্রাম নিয়ে আলোচনা করেছেন। ১৯৭৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করার সময় তিনি যুগ্মভাবে এই সম্মান লাভ করেন, যা তাঁর সাহিত্যিক জীবনের এক বিশেষ মাইলফলক। জনসনের সাহিত্য কর্ম আজও পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয় এবং আলোচিত।
২০০৭ – তারাপদ রায় হাস্যরসাত্মক তথা কৌতুকরসবোধে সংপৃক্ত রচনার জন্য সুপরিচিত বাঙালি লেখক, কবি ও প্রাবন্ধিক
তারাপদ রায় ছিলেন একজন খ্যাতিমান বাঙালি লেখক, কবি এবং প্রাবন্ধিক, যিনি তাঁর হাস্যরসাত্মক এবং কৌতুকমিশ্রিত রচনার জন্য সুপরিচিত। তাঁর লেখাগুলিতে বাংলার সাধারণ মানুষের জীবন, হাস্যরস এবং সামাজিক বিভিন্ন বিষয় প্রতিফলিত হত। রায়ের রচনায় বিশেষ করে তাঁর কৌতুকরসের সংমিশ্রণ তাঁকে বাংলা সাহিত্যে একটি আলাদা স্থান দিয়েছে। তিনি বিভিন্ন প্রবন্ধ এবং ছোটগল্পের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন অসংগতি এবং সমস্যার ওপর তীক্ষ্ণ সমালোচনা করেছেন, যা পাঠকদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। তাঁর জনপ্রিয় রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে “হাসতে নেই মানা” এবং “মুচকি হেসে”, যেখানে তিনি সৃষ্টিশীল কৌতুকের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন দিক উন্মোচন করেছেন। তাঁর জীবন এবং কাজ বাংলা সাহিত্যের অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
২০১২ – নিল আর্মস্ট্রং, মার্কিন নভোচারী, চাঁদে অবতরণকারী প্রথম মানুষ
নিল আর্মস্ট্রং ছিলেন একজন মার্কিন নভোচারী এবং অ্যাপোলো ১১ মিশনের কমান্ডার, যিনি প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা রাখেন। ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই, আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে তাঁর প্রথম পদক্ষেপ রেখে ইতিহাসের পাতায় চিরকাল অমর হয়ে যান। তাঁর সেই বিখ্যাত উক্তি, “That’s one small step for man, one giant leap for mankind,” মানবজাতির মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। আর্মস্ট্রংয়ের নেতৃত্বে অ্যাপোলো ১১ মিশন সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে এবং মানবজাতির মহাকাশ গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। নাসার অন্যতম সফল মিশনগুলির একটি ছিল এটি, যা পরবর্তী মহাকাশ অভিযানগুলিকে অনুপ্রাণিত করে। নিল আর্মস্ট্রংয়ের এই অভূতপূর্ব অর্জন বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।
২০২১ – শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রখ্যাত বাঙালি তবলা বাদক
শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি তবলা বাদক, যিনি সঙ্গীত জগতে তাঁর অসাধারণ প্রতিভার জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি তবলা বাদক হিসেবে অসংখ্য শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের তবলা বাজানোর শৈলী এবং দক্ষতা সঙ্গীতপ্রেমীদের মধ্যে তাঁর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধার সৃষ্টি করেছে। তবলা বাজানোর ক্ষেত্রে তাঁর সংবেদনশীলতা, নিখুঁততা এবং সৃষ্টিশীলতা তাঁকে সমকালীন তবলা বাদকদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। শুভঙ্করের মৃত্যু সঙ্গীত জগতের জন্য একটি বড় ক্ষতি, কিন্তু তাঁর সুরের জগৎ এবং সৃষ্টিশীলতা চিরকাল সঙ্গীতপ্রেমীদের মধ্যে বেঁচে থাকবে।