২৩ আগস্ট পৃথিবীর লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত এই দিনে পরলোকগমন করা কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কথা।

পৃথিবী লগ্ন থেকে আজ এই পর্যন্ত ২৩ শে আগস্ট পৃথিবীতে পরগমন করা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বীর ব্যক্তিদের জীবনী উপস্থাপন করা হচ্ছে এক নজরে দেখুন।

Table of Contents

১৩০৫ – উইলিয়াম ওয়ালেস, একজন নাইট ও স্কটল্যান্ড দেশপ্রেমিক

উইলিয়াম ওয়ালেস ছিলেন একজন নাইট ও স্কটল্যান্ডের দেশপ্রেমিক নেতা, যিনি স্কটিশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তাঁর সাহসিকতা ও নেতৃত্ব স্কটিশদের মধ্যে এক অমর স্মৃতি হিসেবে আজও বেঁচে আছে।

১৫৭৪ – আবু সুউদ এফেন্দি, একজন উসমানীয় হানাফি আলেম ও আইনবিদ

আবু সুউদ এফেন্দি ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের একজন প্রখ্যাত হানাফি আলেম ও আইনবিদ। তিনি শরিয়াহ আইন রচনায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এবং উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিচার বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

১৮০৬ – চার্লস অগাস্টিন কুলম্ব, ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী

চার্লস অগাস্টিন কুলম্ব ছিলেন একজন ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী, যিনি কুলম্বের আইনের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত। তাঁর গবেষণা বিদ্যুৎ ও চুম্বকত্বের ক্ষেত্রে প্রভূত প্রভাব ফেলেছে এবং পদার্থবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।

১৮৮৬ – পণ্ডিত দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ, বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং সমাজসেবক

পণ্ডিত দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং সমাজসেবক। তিনি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং তাঁর সমাজসেবামূলক কাজগুলি আজও স্মরণীয়।

১৯২৭ – সাদ জগলুল পাশা, মিশরের জাতীয় নেতা

সাদ জগলুল পাশা ছিলেন মিশরের একজন প্রথিতযশা জাতীয় নেতা, যিনি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে মিশরের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে মিশরের জাতীয়তাবাদী আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করে।

১৯৪৪ – দ্বিতীয় আবদুল মজিদ, সর্বশেষ উসমানীয় খলিফা

দ্বিতীয় আবদুল মজিদ ছিলেন উসমানীয় সাম্রাজ্যের সর্বশেষ খলিফা। তাঁর সময়ে উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং এর পরবর্তী সময়ে খিলাফতের অবসান ঘটে।

১৯৭৫ – অমল হোম, বাঙালি সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক

অমল হোম ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক এবং সাহিত্যিক। তিনি তার সময়ের অন্যতম প্রধান সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং বাংলা সাহিত্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

১৯৮২ – স্টানফোর্ড মুর, একজন মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী

স্টানফোর্ড মুর ছিলেন একজন প্রখ্যাত মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ, যিনি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তাঁর গবেষণা প্রোটিনের রাসায়নিক গঠন এবং কার্যকারিতা নিয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

১৯৮৭ – সমর সেন, ভারতীয় বাঙালি কবি এবং সাংবাদিক

সমর সেন ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি কবি এবং সাংবাদিক। তাঁর কবিতা এবং সাংবাদিকতার মাধ্যমে তিনি ভারতীয় সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছেন এবং সমাজের নানা বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা প্রকাশ করেছেন।

১৯৮৯ – আর. ডি. লাইং, ছিলেন স্কটিশ মনোচিকিৎসক

আর. ডি. লাইং ছিলেন একজন প্রখ্যাত স্কটিশ মনোচিকিৎসক, যিনি মনোবিজ্ঞান ও মনোচিকিৎসায় নতুন ধারণা ও পদ্ধতি প্রবর্তন করেছিলেন। তাঁর কাজগুলি মনোবিজ্ঞানের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

১৯৯৭ – জন কেন্ড্রেও, একজন ইংরেজ প্রাণরসায়নবিদ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী

জন কেন্ড্রেও ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইংরেজ প্রাণরসায়নবিদ, যিনি প্রোটিনের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ে গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। তাঁর গবেষণা জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

২০১৮ – কুলদীপ নায়ার, প্রথিতযশা প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক

কুলদীপ নায়ার ছিলেন একজন প্রথিতযশা প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক, যিনি সাংবাদিকতার জগতে দীর্ঘকাল ধরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁর নির্ভীক প্রতিবেদন এবং সমাজসেবা সাংবাদিকতার উচ্চ মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা করেছে।

২০১৯ – অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ

অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।

২০১৯ – কারী আব্দুল গণী, বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও কারী

কারী আব্দুল গণী ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও কারী, যিনি তাঁর ধর্মীয় জ্ঞান ও সমাজসেবামূলক কাজের জন্য সম্মানিত ছিলেন। তিনি কুরআনের তিলাওয়াতে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন।

২০২৩ – ইয়েভগেনি প্রিগোজিন, একজন রুশ অলিগার্ক এবং ভাড়াটে যোদ্ধাবাহিনীর প্রধান

ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ছিলেন একজন রুশ অলিগার্ক এবং ভাড়াটে যোদ্ধাবাহিনীর প্রধান, যিনি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর কর্মকাণ্ড ও নেতৃত্ব আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আলোচিত ছিল।

 

Leave a Comment