২৭ শে আগস্ট পৃথিবীর লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস

২৭ শে আগস্ট পৃথিবীর লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস এবং গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন নিয়ে আলোচনা করব। যা পাঠাইছে আগস্ট কে কেন্দ্র করে প্রতি বছরে পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত হয়েছে। চলুন এই সকল বিষয়গুলো এক নজরে দেখে নেই,

১৭৮১: পাল্লিলোরে হায়দার আলীর সাথে ব্রিটিশ যুদ্ধ

১৭৮১ সালে, পাল্লিলোরে হায়দার আলী ব্রিটিশ সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। এই যুদ্ধ ভারতীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে পরিগণিত হয় কারণ এটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় রাজাদের একটি সাহসিক প্রতিরোধের উদাহরণ দেয়।

১৭৮৯: ফরাসি জাতীয় পরিষদে মানবাধিকার ঘোষণা

১৭৮৯ সালে, ফরাসি জাতীয় পরিষদ বিশ্বখ্যাত মানবাধিকারের ঘোষণাটি প্রকাশ করে। এই ঘোষণাটি মানবাধিকারের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করে এবং বিশ্বজুড়ে নাগরিক অধিকারের রক্ষার ভিত্তি গড়ে তোলে।

১৮১৩: ড্রেসডেনের যুদ্ধে নেপোলিয়নের জয়

১৮১৩ সালে, নেপোলিয়ন ড্রেসডেনের যুদ্ধে অস্ট্রিয়ান সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেন। এই জয় নেপোলিয়নের সামরিক দক্ষতা এবং কৌশলগত প্রজ্ঞার একটি উজ্জ্বল নমুনা হিসেবে দেখা যায়।

১৮৭০: শ্রমজীবী সংঘের প্রতিষ্ঠা

১৮৭০ সালে, শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম শ্রমজীবী সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি ভারতে শ্রমিক অধিকার ও কল্যাণের জন্য সংগ্রামের একটি অগ্রণী পদক্ষেপ ছিল।

১৮৮৩: ইন্দোনেশিয়ায় মারাত্মক বন্যা

১৮৮৩ সালে, ইন্দোনেশিয়ায় একটি ভয়াবহ বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে ৩৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগটি অঞ্চলটির ইতিহাসে একটি দুঃখজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়।

১৮৮৯: সেলুলয়েড রোল ফিল্মের প্রস্তুতি

১৮৮৯ সালে, প্রথম বারের মত সেলুলয়েড রোল ফিল্ম প্রস্তুত করা হয়, যা ফটোগ্রাফির ইতিহাসে একটি বিপ্লব ঘটায়।

১৯১৬: রোমানিয়ার যুদ্ধ ঘোষণা

১৯১৬ সালে, রোমানিয়া অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একটি নির্ণায়ক মোড় হিসেবে কাজ করে।

১৯২৮: প্যারিসে শান্তি চুক্তির স্বাক্ষর

১৯২৮ সালে, প্যারিসে ১৭টি দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিত্যাগের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা বিশ্ব শান্তির প্রচেষ্টায় একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হয়।

১৯৩২: আমস্টারডামে যুদ্ধবিরোধী শান্তি কংগ্রেস

১৯৩২ সালে, আমস্টারডামে একটি যুদ্ধবিরোধী শান্তি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এই কংগ্রেসের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে শান্তির প্রচার করা এবং যুদ্ধের বিপক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তোলা।

১৯৪২: ভারত ছাড়ো আন্দোলনে কংগ্রেস রেডিওর সূচনা

১৯৪২ সালে, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় কংগ্রেস গোপনে তাদের নিজস্ব বেতার কেন্দ্র, কংগ্রেস রেডিও, চালু করে। এই রেডিও কেন্দ্র ব্রিটিশ সরকারের নজরদারি এড়িয়ে স্বাধীনতার পক্ষে প্রচার চালাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

১৯৫৮: স্পুটনিক-৩ উৎক্ষেপণ

১৯৫৮ সালে, সোভিয়েত ইউনিয়ন স্পুটনিক-৩ মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করে, যার সাথে দুটি কুকুরও ছিল। এই অভিযান মহাকাশ গবেষণায় সোভিয়েত ইউনিয়নের অগ্রগতির একটি বড় উদাহরণ।

১৯৬৯: ইসরায়েলের নীল উপত্যকায় হামলা

১৯৬৯ সালে, ইসরায়েলের কমান্ডোরা মিসরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে নীল উপত্যকায় মিসরীয় সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে মর্টার হামলা চালায়। এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

১৯৭১: লন্ডনে বাংলাদেশ মিশন উদ্বোধন

১৯৭১ সালে, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন লন্ডনে বাংলাদেশ মিশনের উদ্বোধন করা হয়। এটি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

১৯৭৫: বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ওমান

১৯৭৫ সালে, ওমান বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পথে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছিল।

১৯৮৮: প্রবল বন্যায় বাংলাদেশে প্রাণহানি

১৯৮৮ সালে, বাংলাদেশে প্রবল বন্যার কারণে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এই দুর্যোগ দেশের মানুষের জন্য এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ছিল এবং এর ফলে অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়েছিলেন।

১৯৯১: মোলদাভিয়ার স্বাধীনতা লাভ

১৯৯১ সালে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর মোলদাভিয়া পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে। এটি ছিল মোলদাভিয়ার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

১৯৯১: এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়ার স্বাধীনতা

১৯৯১ সালে, ইউরোপিয়ান কমিউনিটি এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়াকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এই স্বীকৃতি তাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের সফলতার একটি নিদর্শন ছিল এবং পূর্ব ইউরোপে নতুন রাষ্ট্রের জন্ম দেয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*