
এই ২৪ শে আগস্ট পৃথিবীর জন্ম লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির জন্ম হয়েছে যাদের কর্মের ফলে বা যাদের জন্মগ্রহণের ফলে আমাদের পৃথিবী অনেক এগিয়েছে অথবা অনেক পিছিয়েছে। মানে কিছু ব্যক্তিবর্গ জন্ম গ্রহণ করেছে যাদের মধ্যে কিছু ব্যক্তির কারণে পৃথিবীর কল্যাণকর হয়েছে এবং কিছু ব্যক্তির কারণে পৃথিবীতে অকল্যাণের ঢল বয়েছে। চলুন তাদের সাথে পরিচিত হই এক নজরে।
১৭১৪ – আলংফ্রা, বার্মিজ রাজা
আলংফ্রা ১৭১৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং বার্মার (বর্তমান মিয়ানমার) একজন প্রভাবশালী রাজা ছিলেন। তিনি একটি ছোট সাম্রাজ্যকে একটি শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত করেন এবং তার শাসনামলে বার্মা একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তি হিসেবে পরিচিত হয়। তার নেতৃত্বে বার্মা তার ভূখণ্ড বৃদ্ধি করে এবং সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে, যা দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৭৬০ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার শাসনকাল বার্মার ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে রয়ে গেছে।
১৮০৮ – জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, বাঙালি সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ
১৮০৮ সালে জন্মগ্রহণকারী জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলা সমাজে শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়গুলো বাঙালি সমাজে শিক্ষার আলো ছড়াতে বিশেষ অবদান রাখে। ১৮৮৮ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার কাজের মাধ্যমে তিনি বাংলা শিক্ষার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
১৮৫১ – টম কেন্ডল, অস্টেলীয় ক্রিকেটার
১৮৫১ সালে জন্মগ্রহণকারী টম কেন্ডল ছিলেন একজন প্রখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট ক্রিকেটারদের একজন ছিলেন এবং তার সময়ের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯২৪ সালে তার মৃত্যু হলেও, তিনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।
১৮৯৩ – কৃষ্ণচন্দ্র দে, বাংলাসঙ্গীতের আদি ও প্রবাদ পুরুষ
১৮৯৩ সালে জন্মগ্রহণকারী কৃষ্ণচন্দ্র দে বাংলা সঙ্গীতের একজন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ছিলেন। তার অসাধারণ কণ্ঠস্বর এবং সুরের জন্য তিনি আজও বাঙালি সংগীতপ্রেমীদের মনে একটি বিশেষ স্থান ধরে রেখেছেন। ১৯৬২ সালে তার মৃত্যু হলেও, তার গানের প্রভাব আজও বাঙালি সংস্কৃতিতে জীবন্ত।
১৮৯৮ – অ্যালবার্ট ক্লুঁদে, নোবেলবিজয়ী বেলজিয়ান-আমেরিকান চিকিৎসক ও কোষ জীববিজ্ঞানী
১৮৯৮ সালে জন্মগ্রহণকারী অ্যালবার্ট ক্লুঁদে ছিলেন একজন বিখ্যাত বেলজিয়ান-আমেরিকান চিকিৎসক ও কোষ জীববিজ্ঞানী। তিনি কোষ জীববিদ্যার ক্ষেত্রে তার অসাধারণ অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে তার মৃত্যু হলেও, তার গবেষণা আজও জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে যাচ্ছে।
১৮৯৯ – হোর্হে লুইস বোর্হেস, আর্জেন্টিনীয় সাহিত্যিক
১৮৯৯ সালে জন্মগ্রহণকারী হোর্হে লুইস বোর্হেস ছিলেন আর্জেন্টিনার একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। তার লেখা এবং সাহিত্যিক অবদান আর্জেন্টিনার সাহিত্যে একটি বিশাল প্রভাব ফেলে এবং তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পান। ১৯৮৬ সালে তার মৃত্যু হলেও, তার সাহিত্যিক কাজ আজও বিশ্বব্যাপী পাঠকদের মুগ্ধ করে যাচ্ছে।
১৯০৮ – শিবরাম রাজগুরু, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণকারী শিবরাম রাজগুরু ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিপ্লবী। তিনি ভগত সিং এবং সুখদেবের সাথে মিলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ১৯৩১ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তাকে ব্রিটিশ সরকার ফাঁসি দেয়, কিন্তু তার আত্মত্যাগ তাকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে স্থাপন করেছে।
১৯১১ – বীণা দাস, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী ও অগ্নিকন্যা
১৯১১ সালে জন্মগ্রহণকারী বীণা দাস ছিলেন একজন বিখ্যাত ভারতীয় বিপ্লবী। তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা পালন করেন এবং তাকে “অগ্নিকন্যা” নামে অভিহিত করা হয়। ১৯৮৬ সালে তার মৃত্যু হলেও, তার বিপ্লবী কার্যক্রম এবং সাহসিকতা ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে।
১৯২২ – হাওয়ার্ড জিন, আমেরিকান ইতিহাসবিদ, লেখক এবং সমাজকর্মী
১৯২২ সালে জন্মগ্রহণকারী হাওয়ার্ড জিন ছিলেন একজন বিশিষ্ট আমেরিকান ইতিহাসবিদ, লেখক, এবং সমাজকর্মী। তার লেখা “A People’s History of the United States” আমেরিকান ইতিহাসের ওপর একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে তার কণ্ঠস্বর আজও অনুপ্রেরণার উৎস। ২০১০ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার কাজ এবং আদর্শ আজও সমাজকর্মীদের জন্য একটি প্রেরণার উৎস।
১৯২৭ – অঞ্জলি দেবী, ভারতীয় অভিনেত্রী ও প্রযোজক
১৯২৭ সালে জন্মগ্রহণকারী অঞ্জলি দেবী ছিলেন একজন জনপ্রিয় ভারতীয় অভিনেত্রী ও প্রযোজক। তিনি তামিল এবং তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তার অভিনয় এবং প্রযোজনা তাকে দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে এক বিশিষ্ট স্থান এনে দেয়। ২০১৪ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার কর্মজীবন আজও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে জীবন্ত।
১৯২৭ – হ্যারি মার্কোউইটস, আমেরিকান অর্থনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী
১৯২৭ সালে জন্মগ্রহণকারী হ্যারি মার্কোউইটস ছিলেন একজন প্রখ্যাত আমেরিকান অর্থনীতিবিদ, যিনি পোর্টফোলিও থিওরি নিয়ে কাজ করে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার কাজ অর্থনীতির জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আধুনিক অর্থনীতির মূল বিষয়গুলোর একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০২৩ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার গবেষণা আজও অর্থনীতির শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১৯২৮ – টমি ডোচার্টি, স্কটিশ ফুটবলার ও ফুটবল ম্যানেজার
১৯২৮ সালে জন্মগ্রহণকারী টমি ডোচার্টি ছিলেন একজন স্কটিশ ফুটবলার এবং ফুটবল ম্যানেজার। তার কোচিং ক্যারিয়ার তাকে একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি এনে দেয় এবং তিনি বিভিন্ন ক্লাবের কোচ হিসেবে সফলতা অর্জন করেন। তার ফুটবল জীবনের অবদান আজও স্কটিশ ফুটবলে স্মরণীয়।
১৯২৯ – ইয়াসির আরাফাত, ফিলিস্তিনী নেতা ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী
১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণকারী ইয়াসির আরাফাত ছিলেন ফিলিস্তিনের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা এবং পিএলও (প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন)-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত হন। ২০০৪ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার নাম আজও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি প্রধান প্রেরণা হিসেবে রয়ে গেছে।
১৯৩৪ – কেনি বেকার, ইংরেজ অভিনেতা
১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণকারী কেনি বেকার ছিলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা, যিনি “স্টার ওয়ার্স” সিরিজে R2-D2 চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেন। তার অভিনয় প্রতিভা তাকে সারা বিশ্বের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৬ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার ভূমিকা আজও স্টার ওয়ার্স ভক্তদের মনে জীবন্ত।
১৯৩৬ – এ. এস. বাইয়াট, ইংরেজ ঔপন্যাসিক এবং কবি
১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণকারী এ. এস. বাইয়াট ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক এবং কবি। তার উপন্যাস এবং গল্পগুলি তাকে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এনে দেয়, এবং তিনি সাহিত্য জগতে এক বিশিষ্ট স্থান দখল করেন। ২০২৩ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার সাহিত্যিক কাজ আজও পাঠকদের মুগ্ধ করে।
১৯৪২ – ক্যারেন উলেনবেক, আমেরিকান গণিতবিদ
১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণকারী ক্যারেন উলেনবেক একজন বিখ্যাত আমেরিকান গণিতবিদ, যিনি গণিতের ক্ষেত্রে তার অসাধারণ অবদানের জন্য পরিচিত। তিনি প্রথম মহিলা হিসেবে আবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা গণিতের ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কারের সমমান বলে বিবেচিত হয়। তার কাজ গণিতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একটি বিশাল প্রভাব ফেলেছে।
১৬০৮ – প্রথম সরকারিভাবে ইংরেজ প্রতিনিধি ভারতের সুরাতে আসেন
১৬০৮ সালে, ইংরেজ বণিকেরা প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে ভারতের সুরাতে পৌঁছান। এই ঘটনাটি ইংরেজদের জন্য একটি মাইলফলক ছিল, যা পরবর্তীতে ভারতীয় উপমহাদেশে তাদের উপনিবেশ স্থাপনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। এই প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি তাদের বাণিজ্য সম্প্রসারণের পথ প্রশস্ত করে এবং ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শুরুর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ রাখে।
১৬৯০ – ইংরেজ ব্যবসায়ী জব চার্নক সদলে সুতানুটিতে ইংল্যান্ডের জাতীয় পতাকা ওড়ান
১৬৯০ সালের এই দিনে, জব চার্নক কলকাতার সুতানুটি গ্রামে ইংল্যান্ডের জাতীয় পতাকা ওড়ান। এই ঘটনাটি কলকাতা নগরীর প্রতিষ্ঠার দিন হিসেবে ধরা হয়। কলকাতা পরবর্তীতে ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী এবং গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে ওঠে। এটি শহরটির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা কলকাতার সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক বিকাশের সূচনা করে।
১৮১৪ – ব্রিটিশ সেনাদল ওয়াশিংটন ডিসি অধিকার করে এবং হোয়াইট হাউস জ্বালিয়ে দেয়
১৮১৪ সালের এই দিনে, ব্রিটিশ সেনাদল ওয়াশিংটন ডিসি আক্রমণ করে এবং হোয়াইট হাউস জ্বালিয়ে দেয়। এই ঘটনা ছিল আমেরিকা ও ব্রিটেনের মধ্যে সংঘটিত ১৮১২ সালের যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ব্রিটিশ আক্রমণের ফলে আমেরিকার রাজধানী শহরে বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে এবং এটি মার্কিন ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
১৮১৫ – নেদারল্যান্ডসের আধুনিক সংবিধান এই দিনে গৃহীত হয়
১৮১৫ সালের ২৪ আগস্ট, নেদারল্যান্ডসের আধুনিক সংবিধান গৃহীত হয়, যা দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই সংবিধানটি নেদারল্যান্ডসকে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত করে এবং আধুনিক নেদারল্যান্ডস রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোতে নতুন দিশা প্রদান করে।
১৮২১ – মেক্সিকো স্পেনের উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৮২১ সালের এই দিনে, মেক্সিকো স্পেনের উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। দীর্ঘ সংগ্রামের পর, মেক্সিকো অবশেষে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং এটি ল্যাটিন আমেরিকার স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি প্রধান অধ্যায় হয়ে ওঠে। এই স্বাধীনতা দিবসটি মেক্সিকোর ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে পালিত হয়।
১৮৭৫ – ক্যাপ্টেন ম্যাথুওয়েব প্রথম ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন সাঁতার কেটে
১৮৭৫ সালে, ক্যাপ্টেন ম্যাথুওয়েব প্রথমবারের মতো সাঁতার কেটে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। এই কীর্তিটি তাকে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এনে দেয় এবং সাঁতারুদের মধ্যে একটি নতুন প্রেরণা সৃষ্টি করে। ম্যাথুওয়েবের এই অর্জন তাকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায় এবং সাঁতারের ইতিহাসে তার নাম স্থায়ীভাবে খোদাই করে।
১৯০২ – জোয়ান অব আর্কের মূর্তি উন্মোচন করা হয় সেইন্ট পিয়েরে-লে-তে
১৯০২ সালে, জোয়ান অব আর্কের মূর্তি উন্মোচন করা হয় ফ্রান্সের সেইন্ট পিয়েরে-লে-তে। জোয়ান অব আর্ক ফ্রান্সের জাতীয় বীর ছিলেন, যিনি ফরাসি বিপ্লবের সময় ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। এই মূর্তিটি তার সাহসিকতা এবং দেশপ্রেমের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ফরাসি জনগণের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।
১৯১৩ – ফ্রান্স ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় পরস্পরকে আক্রমণ না করার
১৯১৩ সালে, ফ্রান্স এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা পরস্পরকে আক্রমণ না করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই চুক্তিটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। এটি ইউরোপের দুই প্রধান শক্তির মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস করতে সহায়ক হয়েছিল।
১৯১৪ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মান বাহিনী নামুর দখল করে
১৯১৪ সালের এই দিনে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বাহিনী বেলজিয়ামের নামুর শহর দখল করে। এই দখলদারিত্ব যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় শক্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় ছিল। এটি তাদের পশ্চিম ফ্রন্টে অগ্রসর হওয়ার পথে সহায়ক হয় এবং যুদ্ধের গতিপথকে প্রভাবিত করে।
১৯২৯ – বায়তুল মোকাদ্দাসে নুদবা প্রাচীর আন্দোলন শুরু হয়
১৯২৯ সালে, বায়তুল মোকাদ্দাসে নুদবা প্রাচীর আন্দোলন শুরু হয়, যা ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত করে। এই আন্দোলন পবিত্র স্থানগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রতিফলন ছিল এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উত্তেজনার একটি মাইলফলক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়।
১৯৪৪ – জার্মান সাম্রাজ্য থেকে প্যারিস মুক্ত
১৯৪৪ সালের ২৪ আগস্ট, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস জার্মান দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত হয়। মিত্র বাহিনীর এই বিজয় প্যারিসের জনগণের জন্য একটি বড় স্বস্তি নিয়ে আসে এবং ইউরোপে নাৎসি জার্মানির পতনের সূচনা করে। এই মুক্তি ফরাসি প্রতিরোধ আন্দোলনের একটি বিজয় হিসেবে পালিত হয়।
১৯৪৯ – উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো) গঠিত হয়
১৯৪৯ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো) গঠিত হয়। এই সামরিক জোটটি মূলত সোভিয়েত ইউনিয়নের বিস্তার রোধ এবং পশ্চিমা দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ন্যাটো আজও একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সামরিক জোট হিসেবে বিদ্যমান এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৯৬৬ – ভারতীয় সাঁতারু মিহির সেন জিব্রাল্টার প্রণালী অতিক্রম করেন
১৯৬৬ সালে, ভারতীয় সাঁতারু মিহির সেন জিব্রাল্টার প্রণালী সাঁতার কেটে অতিক্রম করেন। এটি তার অসাধারণ শারীরিক ক্ষমতা এবং ধৈর্যের পরিচয় দেয়। মিহির সেনের এই সাফল্য তাকে আন্তর্জাতিক সাঁতারে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যায় এবং ভারতীয় খেলাধুলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে ওঠে।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় পানামা ও উরুগুয়ে
১৯৭২ সালে, পানামা এবং উরুগুয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য ছিল এবং স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গঠনে সহায়ক হয়েছিল। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।
১৯৭৪ – ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি হন
১৯৭৪ সালের এই দিনে, ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ ভারতের পঞ্চম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ভারতের দ্বিতীয় মুসলিম রাষ্ট্রপতি ছিলেন এবং তার শাসনামলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার রাষ্ট্রপতিত্বের সময়ে ভারতীয় গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা এবং সংহতি বজায় ছিল।
১৯৮৮ – সাংবাদিক, সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন
১৯৮৮ সালে, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক আবু জাফর শামসুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্য এবং সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যু বাংলা সাহিত্যে একটি শূন্যতার সৃষ্টি করে, যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এক চিরস্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।
১৯৮৯ – ৪৫ বছরের কমিউনিস্ট শাসনের পর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হলেন তাদেউজ মাজোউইকি
১৯৮৯ সালে, পোল্যান্ডে ৫ বছরের কমিউনিস্ট শাসনের পর তাদেউজ মাজোউইকি পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন। এই ঘটনাটি পোল্যান্ড এবং পূর্ব ইউরোপের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হয়। তাদেউজ মাজোউইকি ছিলেন পোল্যান্ডের প্রথম অ-কাম্যুনিস্ট প্রধানমন্ত্রী, যিনি “সলিডারিটি” আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেছিলেন। তার নেতৃত্বে পোল্যান্ড একটি গণতান্ত্রিক পথে অগ্রসর হয়, যা পরবর্তীতে অন্যান্য পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্যও উদাহরণ স্থাপন করে।
১৯৯১ – তুর্কমেনিয়ার সার্বভৌমত্ব ঘোষণা
১৯৯১ সালের এই দিনে তুর্কমেনিয়া সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে। তুর্কমেনিস্তানের এই স্বাধীনতা ঘোষণা ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের প্রেক্ষাপটে সংঘটিত। দেশটি স্বাধীনতা লাভের পর থেকে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে গঠনমূলক কার্যক্রমে মনোনিবেশ করে। এটি মধ্য এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি পায়।
১৯৯১ – পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে
১৯৯১ সালের ২৪ আগস্ট, ইউক্রেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ইউক্রেনের এই স্বাধীনতা ঘোষণাটি সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর পূর্ব ইউরোপের ভূ-রাজনৈতিক মানচিত্রের একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে। এটি ইউক্রেনের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে, যেখানে দেশটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তার নিজস্ব পথ নির্মাণের সুযোগ পায়। ইউক্রেনের স্বাধীনতা অর্জন দেশটির জনগণের জন্য গর্বের একটি বিষয় ছিল এবং এটি ইউরোপের সামগ্রিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হয়ে ওঠে।
এই ঘটনাগুলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এবং বিভিন্ন সময়ে ঘটেছে, যা প্রতিটি দেশের ইতিহাস এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
১৭১৪ – আলংফ্রা, বার্মিজ রাজা
আলংফ্রা ১৭১৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং বার্মার (বর্তমান মিয়ানমার) একজন প্রভাবশালী রাজা ছিলেন। তিনি একটি ছোট সাম্রাজ্যকে একটি শক্তিশালী রাজ্যে পরিণত করেন এবং তার শাসনামলে বার্মা একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তি হিসেবে পরিচিত হয়। তার নেতৃত্বে বার্মা তার ভূখণ্ড বৃদ্ধি করে এবং সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে, যা দেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৭৬০ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার শাসনকাল বার্মার ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে রয়ে গেছে।
১৮০৮ – জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়, বাঙালি সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ
১৮০৮ সালে জন্মগ্রহণকারী জয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন বিশিষ্ট বাঙালি সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ। তিনি বাংলা সমাজে শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়গুলো বাঙালি সমাজে শিক্ষার আলো ছড়াতে বিশেষ অবদান রাখে। ১৮৮৮ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার কাজের মাধ্যমে তিনি বাংলা শিক্ষার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
১৮৫১ – টম কেন্ডল, অস্টেলীয় ক্রিকেটার
১৮৫১ সালে জন্মগ্রহণকারী টম কেন্ডল ছিলেন একজন প্রখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট ক্রিকেটারদের একজন ছিলেন এবং তার সময়ের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯২৪ সালে তার মৃত্যু হলেও, তিনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।
১৮৯৩ – কৃষ্ণচন্দ্র দে, বাংলাসঙ্গীতের আদি ও প্রবাদ পুরুষ
১৮৯৩ সালে জন্মগ্রহণকারী কৃষ্ণচন্দ্র দে বাংলা সঙ্গীতের একজন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ছিলেন। তার অসাধারণ কণ্ঠস্বর এবং সুরের জন্য তিনি আজও বাঙালি সংগীতপ্রেমীদের মনে একটি বিশেষ স্থান ধরে রেখেছেন। ১৯৬২ সালে তার মৃত্যু হলেও, তার গানের প্রভাব আজও বাঙালি সংস্কৃতিতে জীবন্ত।
১৮৯৮ – অ্যালবার্ট ক্লুঁদে, নোবেলবিজয়ী বেলজিয়ান-আমেরিকান চিকিৎসক ও কোষ জীববিজ্ঞানী
১৮৯৮ সালে জন্মগ্রহণকারী অ্যালবার্ট ক্লুঁদে ছিলেন একজন বিখ্যাত বেলজিয়ান-আমেরিকান চিকিৎসক ও কোষ জীববিজ্ঞানী। তিনি কোষ জীববিদ্যার ক্ষেত্রে তার অসাধারণ অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৩ সালে তার মৃত্যু হলেও, তার গবেষণা আজও জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে যাচ্ছে।
১৮৯৯ – হোর্হে লুইস বোর্হেস, আর্জেন্টিনীয় সাহিত্যিক
১৮৯৯ সালে জন্মগ্রহণকারী হোর্হে লুইস বোর্হেস ছিলেন আর্জেন্টিনার একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। তার লেখা এবং সাহিত্যিক অবদান আর্জেন্টিনার সাহিত্যে একটি বিশাল প্রভাব ফেলে এবং তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পান। ১৯৮৬ সালে তার মৃত্যু হলেও, তার সাহিত্যিক কাজ আজও বিশ্বব্যাপী পাঠকদের মুগ্ধ করে যাচ্ছে।
১৯০৮ – শিবরাম রাজগুরু, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী
১৯০৮ সালে জন্মগ্রহণকারী শিবরাম রাজগুরু ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিপ্লবী। তিনি ভগত সিং এবং সুখদেবের সাথে মিলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ১৯৩১ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে তাকে ব্রিটিশ সরকার ফাঁসি দেয়, কিন্তু তার আত্মত্যাগ তাকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে স্থাপন করেছে।
১৯১১ – বীণা দাস, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী ও অগ্নিকন্যা
১৯১১ সালে জন্মগ্রহণকারী বীণা দাস ছিলেন একজন বিখ্যাত ভারতীয় বিপ্লবী। তিনি ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা পালন করেন এবং তাকে “অগ্নিকন্যা” নামে অভিহিত করা হয়। ১৯৮৬ সালে তার মৃত্যু হলেও, তার বিপ্লবী কার্যক্রম এবং সাহসিকতা ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে।
১৯২২ – হাওয়ার্ড জিন, আমেরিকান ইতিহাসবিদ, লেখক এবং সমাজকর্মী
১৯২২ সালে জন্মগ্রহণকারী হাওয়ার্ড জিন ছিলেন একজন বিশিষ্ট আমেরিকান ইতিহাসবিদ, লেখক, এবং সমাজকর্মী। তার লেখা “A People’s History of the United States” আমেরিকান ইতিহাসের ওপর একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে তার কণ্ঠস্বর আজও অনুপ্রেরণার উৎস। ২০১০ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার কাজ এবং আদর্শ আজও সমাজকর্মীদের জন্য একটি প্রেরণার উৎস।
১৯২৭ – অঞ্জলি দেবী, ভারতীয় অভিনেত্রী ও প্রযোজক
১৯২৭ সালে জন্মগ্রহণকারী অঞ্জলি দেবী ছিলেন একজন জনপ্রিয় ভারতীয় অভিনেত্রী ও প্রযোজক। তিনি তামিল এবং তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তার অভিনয় এবং প্রযোজনা তাকে দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে এক বিশিষ্ট স্থান এনে দেয়। ২০১৪ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার কর্মজীবন আজও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে জীবন্ত।
১৯২৭ – হ্যারি মার্কোউইটস, আমেরিকান অর্থনীতিবিদ এবং শিক্ষাবিদ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী
১৯২৭ সালে জন্মগ্রহণকারী হ্যারি মার্কোউইটস ছিলেন একজন প্রখ্যাত আমেরিকান অর্থনীতিবিদ, যিনি পোর্টফোলিও থিওরি নিয়ে কাজ করে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার কাজ অর্থনীতির জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আধুনিক অর্থনীতির মূল বিষয়গুলোর একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। ২০২৩ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার গবেষণা আজও অর্থনীতির শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
১৯২৮ – টমি ডোচার্টি, স্কটিশ ফুটবলার ও ফুটবল ম্যানেজার
১৯২৮ সালে জন্মগ্রহণকারী টমি ডোচার্টি ছিলেন একজন স্কটিশ ফুটবলার এবং ফুটবল ম্যানেজার। তার কোচিং ক্যারিয়ার তাকে একটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি এনে দেয় এবং তিনি বিভিন্ন ক্লাবের কোচ হিসেবে সফলতা অর্জন করেন। তার ফুটবল জীবনের অবদান আজও স্কটিশ ফুটবলে স্মরণীয়।
১৯২৯ – ইয়াসির আরাফাত, ফিলিস্তিনী নেতা ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী
১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণকারী ইয়াসির আরাফাত ছিলেন ফিলিস্তিনের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা এবং পিএলও (প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন)-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় একটি কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত হন। ২০০৪ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার নাম আজও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি প্রধান প্রেরণা হিসেবে রয়ে গেছে।
১৯৩৪ – কেনি বেকার, ইংরেজ অভিনেতা
১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণকারী কেনি বেকার ছিলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা, যিনি “স্টার ওয়ার্স” সিরিজে R2-D2 চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করেন। তার অভিনয় প্রতিভা তাকে সারা বিশ্বের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০১৬ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার ভূমিকা আজও স্টার ওয়ার্স ভক্তদের মনে জীবন্ত।
১৯৩৬ – এ. এস. বাইয়াট, ইংরেজ ঔপন্যাসিক এবং কবি
১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণকারী এ. এস. বাইয়াট ছিলেন একজন প্রখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক এবং কবি। তার উপন্যাস এবং গল্পগুলি তাকে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এনে দেয়, এবং তিনি সাহিত্য জগতে এক বিশিষ্ট স্থান দখল করেন। ২০২৩ সালে তার মৃত্যু হয়, তবে তার সাহিত্যিক কাজ আজও পাঠকদের মুগ্ধ করে।
১৯৪২ – ক্যারেন উলেনবেক, আমেরিকান গণিতবিদ
১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণকারী ক্যারেন উলেনবেক একজন বিখ্যাত আমেরিকান গণিতবিদ, যিনি গণিতের ক্ষেত্রে তার অসাধারণ অবদানের জন্য পরিচিত। তিনি প্রথম মহিলা হিসেবে আবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা গণিতের ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কারের সমমান বলে বিবেচিত হয়। তার কাজ গণিতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একটি বিশাল প্রভাব ফেলেছে।
১৯৪৭ – অ্যান আর্চার, মার্কিন অভিনেত্রী
১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণকারী অ্যান আর্চার একজন জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি হলিউডের একাধিক উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তার প্রভাবশালী অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন। অ্যান আর্চার তার ক্যারিয়ারে একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন, এবং তিনি চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন উভয় মাধ্যমেই সফল হয়েছেন।
১৯৪৭ – পাওলো কোয়েলহো, ব্রাজিলিয়ান লেখক এবং গীতিকার
১৯৪৭ সালে জন্মগ্রহণকারী পাওলো কোয়েলহো একজন বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান লেখক ও গীতিকার। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস “দ্য আলকেমিস্ট” বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ পাঠকের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। কোয়েলহোর লেখনী আত্ম-উন্নয়ন এবং আধ্যাত্মিকতার উপর কেন্দ্রীভূত, যা পাঠকদের নতুন দৃষ্টিকোণ প্রদান করে। তার বইগুলি বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে এবং তিনি আজও একজন প্রভাবশালী লেখক হিসেবে বিবেচিত হন।
১৯৫৭ – স্টিভেন ফ্রাই, ইংরেজ অভিনেতা, সাংবাদিক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার
১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহণকারী স্টিভেন ফ্রাই একজন প্রতিভাবান ইংরেজ অভিনেতা, সাংবাদিক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার। তার বহুমুখী প্রতিভা এবং বুদ্ধিদীপ্ত রসবোধ তাকে ব্রিটিশ বিনোদন জগতে একটি আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ফ্রাই বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠান এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তার সাহিত্যিক কাজও বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
১৯৫৯ – আদ্রিয়ান কুইপার, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার
১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণকারী আদ্রিয়ান কুইপার একজন দক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার ছিলেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক এবং টেস্ট ক্রিকেটে অসাধারণ পারফর্মেন্স করেছেন। তার ব্যাটিং ও বোলিং দক্ষতা তাকে তার সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছেন।
১৯৬৫ – মার্লি ম্যাটলিন, মার্কিন অভিনেত্রী, লেখিকা ও সমাজকর্মী
১৯৬৫ সালে জন্মগ্রহণকারী মার্লি ম্যাটলিন একজন প্রখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী, লেখিকা এবং সমাজকর্মী। তিনি শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও অভিনয় জগতে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছেন এবং তার ভূমিকা তাকে অস্কার পুরস্কার এনে দিয়েছে। ম্যাটলিন সমাজে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের অধিকার এবং সমতা নিয়ে কাজ করেন এবং তার কর্মকাণ্ডে অনেকের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন।
১৯৭৩ – ডেভ চ্যাপেল, আমেরিকান কৌতুক অভিনেতা, অভিনেতা, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার
১৯৭৩ সালে জন্মগ্রহণকারী ডেভ চ্যাপেল একজন প্রখ্যাত আমেরিকান কৌতুক অভিনেতা, অভিনেতা, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার। তার কৌতুক শৈলী এবং সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ তাকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলেছে। চ্যাপেল কৌতুকের মাধ্যমে সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং তার কাজ তাকে কমেডি জগতের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
১৯৮৮ – রুপার্ট গ্রিন্ট, ইংরেজ অভিনেতা
১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহণকারী রুপার্ট গ্রিন্ট একজন জনপ্রিয় ইংরেজ অভিনেতা, যিনি “হ্যারি পটার” চলচ্চিত্র সিরিজে রন উইজলির ভূমিকায় অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার অভিনয় দক্ষতা এবং চরিত্রের প্রতি একাগ্রতা তাকে কিশোর এবং তরুণ দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলেছে। গ্রিন্ট তার ক্যারিয়ার জুড়ে বিভিন্ন চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন এবং তার অভিনয় প্রতিভা তাকে এখনও বিনোদন জগতে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে রেখেছে।
১৯৮৮ – মায়া ইয়োশিদা, জাপানি ফুটবলার
১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহণকারী মায়া ইয়োশিদা একজন দক্ষ জাপানি ফুটবলার, যিনি ডিফেন্ডার হিসেবে তার দেশের জাতীয় দল এবং বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। তার ক্রীড়া প্রতিভা এবং নেতৃত্বের গুণাবলী তাকে জাপানের ফুটবলে একটি প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইয়োশিদা বিশ্বব্যাপী ফুটবলপ্রেমীদের কাছে পরিচিত এবং প্রশংসিত একজন ফুটবলার।
১৯৯১ – পুনম যাদব, ভারতীয় প্রমীলা ক্রিকেটার
১৯৯১ সালে জন্মগ্রহণকারী পুনম যাদব একজন প্রতিভাবান ভারতীয় প্রমীলা ক্রিকেটার। তিনি ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের হয়ে স্পিন বোলার হিসেবে অসাধারণ পারফর্মেন্স করেছেন এবং তার বলিং দক্ষতা তাকে দলের অন্যতম প্রধান সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। যাদবের পারফর্মেন্স ভারতের নারী ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সহায়ক হয়েছে।
১৯৯৭ – অ্যালান ওয়াকার, নরওয়েজিয়ান রেকর্ড প্রযোজক এবং ডিজে
১৯৯৭ সালে জন্মগ্রহণকারী অ্যালান ওয়াকার একজন জনপ্রিয় নরওয়েজিয়ান রেকর্ড প্রযোজক এবং ডিজে। তার গান “Faded” সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছে এবং তাকে একটি আন্তর্জাতিক তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ওয়াকারের সংগীত এবং প্রযোজনার দক্ষতা তাকে ইলেকট্রনিক মিউজিক জগতে একটি বিশিষ্ট স্থান এনে দিয়েছে এবং তার কাজ আজও বিশ্বজুড়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করে চলেছে।
এই সব ব্যক্তিত্বরা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসাধারণ অবদান রেখেছেন, যা আমাদের পৃথিবীকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। তাদের কর্মজীবন এবং অর্জন তাদেরকে স্মরণীয় করে রেখেছে এবং তাদের জীবনের গল্প আমাদেরকে অনুপ্রেরণা দেয়।
Leave a Reply