২৩ আগস্ট পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো এক নজরে দেখুন

২৩ আগস্ট পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোকে একত্রিত করে নিজে উপস্থাপন করা হলো। ২৩ আগস্ট এই দিনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য নিচে চোখ রাখুন।

১৩২৮ – ফ্রান্সের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ সিংহাসনে অভিষিক্ত হন

১৩২৮ সালে ফ্রান্সে ষষ্ঠ ফিলিপ সিংহাসনে বসেন। তাঁর অভিষেক ছিল ফ্রান্সের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ষষ্ঠ ফিলিপ ছিলেন ক্যাপেটিয়ান রাজবংশের একজন রাজা এবং তাঁর শাসনামলে ফ্রান্স বিভিন্ন সামরিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। তাঁর শাসনামল ফ্রান্সের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হিসেবে বিবেচিত হয়।

১৬১৭ – লন্ডনে প্রথম ওয়ানওয়ে রাস্তা চালু হয়

১৬১৭ সালে লন্ডনে প্রথম ওয়ানওয়ে রাস্তা চালু করা হয়, যা আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ ছিল। এটি রাস্তায় যানজট কমাতে সহায়ক প্রমাণিত হয় এবং পরবর্তীকালে বিশ্বের অন্যান্য শহরগুলোতে এই ধারণা গ্রহণ করা হয়। এই পদক্ষেপের ফলে নগরবাসীর যাতায়াতের নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খলতা বৃদ্ধি পায়।

১৭৯৯ – নেপোলিয়ন মিসর ত্যাগ করে ফ্রান্সের উদ্দেশে যাত্রা করেন

১৭৯৯ সালে নেপোলিয়ন বোনাপার্ট মিসরে তাঁর সামরিক অভিযানের সমাপ্তি ঘটিয়ে ফ্রান্সের উদ্দেশে যাত্রা করেন। মিসরে তাঁর অভিযান ছিল ফরাসি সামরিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, তবে শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও সামরিক পরিকল্পনার পথ সুগম করে।

১৮২১ – মেক্সিকো স্বাধীনতা ঘোষণা করে

১৮২১ সালে মেক্সিকো স্পেন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে লাতিন আমেরিকার একটি শক্তিশালী জাতি হিসেবে মেক্সিকোর আত্মপ্রকাশ ঘটে। মেক্সিকোর স্বাধীনতা যুদ্ধ দীর্ঘ ও রক্তাক্ত ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা স্বাধীনতা অর্জনে সফল হয় এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

১৮২৫ – বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠিত হয়

১৮২৫ সালে বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ ছিল। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাণিজ্যিক উদ্যোগগুলোর উন্নতি ও প্রসার ঘটে এবং ব্রিটিশ ভারতের অর্থনৈতিক কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চেম্বার অব কমার্সের এই প্রতিষ্ঠা বাণিজ্যিক নীতি ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে দাঁড়ায়।

১৮৩৩ – ব্রিটেন তার উপনিবেশগুলোতে ক্রীতদাস প্রথা বাতিল করে

১৮৩৩ সালে ব্রিটিশ সরকার তার সমস্ত উপনিবেশে ক্রীতদাস প্রথা বাতিল করে, যা মানবাধিকার আন্দোলনের একটি বৃহৎ বিজয় ছিল। এর ফলে ৭০ লাখ ক্রীতদাস মুক্তি লাভ করে এবং মানবতার ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়। ক্রীতদাস প্রথার অবসান ঘটিয়ে ব্রিটেন একটি সভ্য সমাজ গড়ে তোলার পথে অগ্রসর হয়।

১৮৩৯ – ব্রিটেন চীনের কাছ থেকে হংকং দখল করে নেয়

১৮৩৯ সালে ব্রিটেন চীনের কাছ থেকে হংকং দখল করে নেয়, যা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় হিসেবে বিবেচিত হয়। হংকংয়ের দখল ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী নীতির একটি অংশ, যা পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল।

১৮৬৬ – প্রুশিয়া এবং অষ্ট্রিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক প্রাগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়

১৮৬৬ সালে প্রুশিয়া এবং অষ্ট্রিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক প্রাগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা ইউরোপের রাজনৈতিক মানচিত্র পরিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই চুক্তি প্রুশিয়ার আধিপত্যকে শক্তিশালী করে এবং অষ্ট্রিয়া ও প্রুশিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান ঘটায়। চুক্তিটি ইউরোপীয় রাজনীতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।

১৮৭৫ – বাংলার প্রথম অভিনেত্রী-নাট্যকার গোলাপের সুকুমারী দত্ত সাহায্যার্থে তার রচিত ‘অপূর্ব্ব সতী’ মঞ্চস্থ হয়

১৮৭৫ সালে বাংলার প্রথম অভিনেত্রী-নাট্যকার গোলাপের সুকুমারী দত্ত তাঁর রচিত ‘অপূর্ব্ব সতী’ নাটকটি মঞ্চস্থ করেন, যা বাংলার নাট্য ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এটি বাংলার প্রথম ফিল্মী-সহায়তা অভিনয় রজনী ছিল, যা বাংলা থিয়েটারের অগ্রযাত্রায় একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।

১৯১৪ – জাপান জার্মানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে

১৯১৪ সালে জাপান জার্মানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। জাপান এই যুদ্ধে মিত্রশক্তির সাথে যুক্ত হয় এবং পূর্ব এশিয়ায় তার প্রভাব বিস্তার করে। যুদ্ধ ঘোষণা জাপানের সামরিক ও কূটনৈতিক শক্তির প্রদর্শনী ছিল।

১৯২১ – প্রথম ফয়সাল ইরাকের বাদশা পদে অভিষিক্ত হন

১৯২১ সালে প্রথম ফয়সাল ইরাকের বাদশা পদে অভিষিক্ত হন, যা মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। তাঁর শাসনামলে ইরাক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং তিনি দেশের প্রথম রাজা হিসেবে জনগণের মধ্যে একটি শক্তিশালী নেতা হিসেবে বিবেচিত হন।

১৯২৫ – বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠিত হয়

১৯২৫ সালে পুনরায় বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা বাংলার অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রতিষ্ঠানটি বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক নীতি গঠনে একটি কেন্দ্রস্থল হয়ে ওঠে। এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও প্রসার লাভ করে এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়।

১৯৩৯ – হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি জার্মানি এবং স্টালিনের নেতৃত্বে সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে একটি অ-আগ্রাসন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়

১৯৩৯ সালে হিটলারের নেতৃত্বে নাৎসি জার্মানি এবং স্টালিনের নেতৃত্বে সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে একটি অ-আগ্রাসন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। এই চুক্তি ইউরোপের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গভীর প্রভাব ফেলে এবং পরবর্তীতে যুদ্ধের গতিপথ নির্ধারণে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

১৯৪২ – স্তালিনগ্রাদের ঐতিহাসিক যুদ্ধ শুরু হয়

১৯৪২ সালে স্তালিনগ্রাদের ঐতিহাসিক যুদ্ধ শুরু হয়, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই যুদ্ধের ফলাফল সোভিয়েত ইউনিয়নের জন্য একটি বড় বিজয় ছিল এবং এটি নাৎসি জার্মানির পতনের সূচনা করে। স্তালিনগ্রাদ যুদ্ধ ইতিহাসের অন্যতম রক্তাক্ত যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।

১৯৪৪ – রুমানিয়ার সামরিক শাসক উৎখাত

১৯৪৪ সালে রুমানিয়ার সামরিক শাসক উৎখাত করা হয়, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। এই ঘটনাটি রুমানিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দেয় এবং দেশের রাজনৈতিক কাঠামো পরিবর্তন করে।

১৯৬২ – বাংলাদেশে প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়

১৯৬২ সালে বাংলাদেশে প্রথম প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধান ছিল। এই প্রাকৃতিক সম্পদের আবিষ্কার দেশের জ্বালানি ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করে এবং দেশের অর্থনীতিতে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দেয়।

১৯৭৩ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় আইভরি কোস্ট

১৯৭৩ সালে আইভরি কোস্ট বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, যা বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি ছিল। এই স্বীকৃতি দেশের স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থনের একটি উল্লেখযোগ্য প্রদর্শনী ছিল এবং এটি বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে।

১৯৮৬ – পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য মস্কো ওয়াশিংটন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়

১৯৮৬ সালে মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যা বিশ্বের দুটি পরাশক্তির মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। এই চুক্তি পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার ঝুঁকি কমিয়ে আনতে এবং পারমাণবিক শক্তিকে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশই পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে অগ্রসর হওয়ার সংকল্প প্রকাশ করে এবং এটি বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল।

এই চুক্তি শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে নয়, বরং বিশ্বজুড়ে পারমাণবিক অস্ত্রের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক প্রমাণিত হয়। চুক্তির ফলে পারমাণবিক শক্তির উন্নয়ন ও ব্যবহারে নতুন মানদণ্ড স্থাপিত হয়, যা পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক শক্তি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছিল।

১৯৯১ – “ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন” প্রতিষ্ঠিত হয়

১৯৯১ সালে “ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন” (ইশা) প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বাংলাদেশের ছাত্রদের মধ্যে একটি ইসলামি আদর্শ ভিত্তিক সংগঠন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসলামী মূল্যবোধ প্রচার এবং ছাত্রদের মধ্যে নৈতিকতা ও আদর্শিক শিক্ষা প্রচার করে আসছে। ইশা সংগঠনটি দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সক্রিয় রয়েছে এবং ইসলামী শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

১৯৯১ – রুশ প্রজাতন্ত্রে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করেন

১৯৯১ সালে রুশ প্রজাতন্ত্রে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়, যা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তন ছিল। এই পদক্ষেপ রাশিয়ার রাজনৈতিক কাঠামোতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দেয় এবং দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পথ প্রশস্ত করে। এই ঘটনাটি রাশিয়ার ইতিহাসে কমিউনিজমের অবসান এবং নতুন রাজনৈতিক দিগন্তের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হয়।

১৯৯১ – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয় এবং গর্বাচেভ পুনরায় ক্ষমতা ফিরে পান

১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয় এবং মিখাইল গর্বাচেভ পুনরায় ক্ষমতা ফিরে পান। এই ষড়যন্ত্র ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ মুহূর্তের একটি বড় রাজনৈতিক সংকট, যা পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ত্বরান্বিত করে। গর্বাচেভের পুনরায় ক্ষমতায় আসা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের শেষ পর্যায়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল।

২০০৭ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কালো দিবস নামে পরিচিত

২০০৭ সালের ২০ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের সাথে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সংঘর্ষের প্রতিবাদে কালো দিবস হিসেবে পরিচিত। এই দিনটি বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসে একটি বেদনাদায়ক স্মৃতি হয়ে আছে। সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গভীর প্রভাব ফেলে।

২০১৬ – ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় কলকাতার রাজভবনে আকাশবাণী মৈত্রী চ্যানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন

২০১৬ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় কলকাতার রাজভবনে আকাশবাণী মৈত্রী চ্যানেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এই চ্যানেলটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। আকাশবাণী মৈত্রী চ্যানেলের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্যের বিনিময় আরও সুসংহত হয়েছে।

২০২৩ – ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর পৃষ্ঠ স্পর্শ করে

২০২৩ সালে ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের দক্ষিণ মেরুর পৃষ্ঠ স্পর্শ করে, যা ভারতের মহাকাশ গবেষণায় একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই অভিযান ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) এর অন্যতম কৃতিত্ব হিসেবে বিবেচিত হয়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে এবং বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*